ঢাকা রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫

তৃতীয় স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ গুম, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
সোহরাব হোসেন আকনকে জেলহাজতে নেওয়া হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুম করার দায়ে বরিশালে স্বামী সোহরাব হোসেন আকনকে (৪৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

রোববার (৫ অক্টোবর) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রকিবুল ইসলাম এই আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার আজিবর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে জানান, এর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মুলাদীর তয়কা গ্রামের মো. লাল মিয়ার ছেলে সোহরাবকে আরও একটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল চলমান রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোহরাব তার স্ত্রী লিমা বেগমকে ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর হত্যা করে মরদেহ গুম করেন। এরপর থেকে লিমার সন্ধান পাওয়া যায়নি। লিমা সোহরাবের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। তিনি মুলাদী পৌরশহরের তেরচর গ্রামের হোসেন পাটওয়ারীর মেয়ে। লিমার বোন ডলি বেগম প্রথমে মুলাদী থানায় জিডি এবং ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি হত্যা ও গুমের মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ফেরদৌস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে লিমার বিয়ে হয়, তিনি স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। সোহরাব লিমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ফেরদৌসকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। পরে লিমাকে বিয়ে করে সোহরাবও লিমাদের বাড়িতে থাকতেন। হত্যা ও গুমের ৫-৬ মাস আগে এ বিয়ে হয়। 

একপর্যায়ে লিমার বাবাকে জমি বিক্রি করে ২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে চাপ দেন সোহরাব। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ ছিল। এর জেরে লিমাকে হত্যা করে গুম করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারকার্য শেষে রোববার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সোহরাবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।