ঝিনাইদহের মহেশপুরে পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে ডেকে নিয়ে মোস্তাক হোসেন নামে এক ইটভাটার লেবার সরদারের ওপর গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার খালিশপুর ইউনিয়নের পুরুন্দপুর গ্রামের মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাত ৭টার দিকে স্থানীয়রা রাস্তার পাশের কলাবাগান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তাককে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত মোস্তাক হোসেন মহেশপুর পৌরসভার পাতিবিলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে হত্যাচেষ্টার অভিযুক্ত বাবুলকে পুলিশ আটক করে। বাবুল ফতেপুর ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের খালেকের ছেলে।
মহেশপুর থানা পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোস্তাক ও বাবুল দুজনেই ইটভাটার লেবার সরদার হিসেবে কাজ করেন। ইটভাটায় লেবার দেওয়ার কথা বলে বাবুল মোস্তাকের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা নেন। কিন্তু পরে লেবার না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন তিনি।
বুধবার বিকেলে টাকা ফেরত দেওয়া ও কিছু লেবার সরবরাহের কথা বলে বাবুল মোস্তাককে মারুফদহ গ্রামে ডেকে নেন। সেখানে লেবারদের সঙ্গে কথা বলে দুজনে একই মোটরসাইকেলে ফিরে আসছিলেন। ফেরার পথে মোস্তাক বাকি টাকা চাইলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বাবুল রুপদহ–পুরুন্দপুর মাঠে পৌঁছেই মোটরসাইকেলের পেছন থেকে গলায় ছুরি দিয়ে কোপ দেন।
এতে দুজনেই মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। পরে উঠে বাবুল আবারো মোস্তাকের ঘাড়ে কোপ মারেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পথচারীদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাবুল পালিয়ে যান।
মহেশপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’



