লায়ন কল্লোল লিমিটেড তাদের জনপ্রিয় পণ্য মামা লেমন লিকুইড ডিশওয়াশ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কিচেন হাইজিন সচেতনতা ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। রাজধানীর লেকশোর হাইটসে “মিট দ্য প্রেস” অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এই ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা শেখানো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, লায়ন কল্লোল লিমিটেড, কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিসের প্রতিনিধিসহ শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা।
বর্তমানে ক্যাম্পেইনটি মানিকগঞ্জের ৬৫১টি স্কুলে পরিচালিত হচ্ছে। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এখানে হাত ধোয়া, খাবার নিরাপদে রাখা এবং থালাবাসন সঠিকভাবে পরিষ্কার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস শেখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন “হাইজিন অ্যাম্বাসেডর” হিসেবে, যাতে তারা এই জ্ঞান পরিবার ও কমিউনিটিতে ছড়িয়ে দিতে পারে।
প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়াটি জাইকার রেগুলেটরি অ্যান্ড কোঅর্ডিনেটিং (এসটিআইআরসি) প্রোজেক্ট এর তিনটি ধাপে সম্পন্ন হচ্ছে। প্রথম ধাপে শিক্ষকদের বিশেষজ্ঞরা প্রশিক্ষণ দেন, এরপর সেই শিক্ষকরা অন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এবং সর্বশেষ ধাপে ইন্টারঅ্যাকটিভ ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়।
জাইকা বাংলাদেশের প্রোজেক্ট ফর্মুলেশন অ্যাডভাইজর মিস ওকাদা আকিকো বলেন, ‘শিশুরা যখন ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে শেখে, তখন তারা নিজেদের পরিবার ও সমাজকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে। দীর্ঘমেয়াদি কার্যকরী সামাজিক প্রভাব তৈরি করতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের গুরুত্ব অপরিসীম।’
লায়ন কল্লোল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব তাকেশি হাসেগাওয়া বলেন, ‘লায়নের বৈশ্বিক হাইজিন দক্ষতা এবং কল্লোল গ্রুপের শক্তিশালী বিতরণ নেটওয়ার্ক একত্রে বাংলাদেশে প্রতিদিনের স্বাস্থ্যবিধি অভ্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। জাইকা ও কল্লোল গ্রুপকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।’
কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কমিউনিটির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘমেয়াদি হাইজিন সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগে যুক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত।’
সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের প্রধান বিজ্ঞানী ড. মো. লতিফুল বারী রান্নাঘরে কীভাবে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে এবং তা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘চলমান পানির সঙ্গে লিকুইড ডিসওয়াশ ব্যবহার করলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এবং খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।’
লায়ন কল্লোল লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর তন্ময় দত্ত গুপ্ত বলেন, ‘কিচেন হাইজিন উন্নয়নে লায়ন কল্লোল একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে যা সরাসরি এসডিজি ৩: গুড হেলথ এন্ড ওয়েল বিং লক্ষ্যকে সমর্থন করে। শিক্ষার্থীদের হাইজিন অ্যাম্বাসেডর হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ‘কিচেন হাইজিন অ্যাওয়ারনেস ডে’ চালু করারও পরিকল্পনা রয়েছে।’
লায়ন কল্লোল লিমিটেড ২০২২ সালে জাপানের লায়ন কর্পোরেশন ও বাংলাদেশের কল্লোল লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে। তাদের ফ্ল্যাগশিপ পণ্য মামা লেমন লিকুইড ডিশওয়াশ উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিদিনের থালাবাসন ধোয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তুলছে।

