যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া বাজারে বেতনা নদীর পরিত্যক্ত জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, মারধর ও বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোড়পাড়া কলোনীপাড়া সংলগ্ন বেতনা নদীর পরিত্যক্ত আবদ্ধ জলাশয়ে মাছ ধরার জন্য প্রথম পক্ষের শরিফুল ইসলাম, আবু জার ও মোস্তফা গত ১৯ নভেম্বর জায়গাটি পরিষ্কার করে সেচপাম্প বসান। কিন্তু পাশের কন্দর্পপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে সুজা মেম্বারও ওই জলাশয়ে মাছ ধরার উদ্যোগ নিলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি মীমাংসার কথা থাকলেও দ্বিতীয় পক্ষের সুমন, শহিদুল ইসলাম তোতা, শাহিন, সবুজ, ইয়াছিনসহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গোড়পাড়া বাজারে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলাকারীরা বাজারের ইসলাম হোসেন (৪২), গোলাম মোস্তফা (৫৪), খোরশেদ (৩৫), জাহাঙ্গীর ও ইকরামুলসহ অন্তত পাঁচজনকে মারধর করে আহত করেন। একই সঙ্গে শিমুল ফার্মেসি, মা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, আনোয়ারের হোটেল এবং মিনারুলের মুদি দোকানসহ তিন-চারটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়।
এরপর তারা ১১নং নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে কর্মরত গ্রামপুলিশদের হুমকি দেন এবং পরিষদের গেট বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে বাজার সভাপতি ডাক্তার আবুল কালামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেন। খবর পেয়ে শার্শা থানার জরুরি ডিউটি টিম ও গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শার্শা থানার ওসি আব্দুল আলীম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।



