বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


খলিল উদ্দিন ফরিদ, ভোলা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম

একাত্তরের এদিনে হানাদারমুক্ত হয় দ্বীপ জেলা ভোলা

খলিল উদ্দিন ফরিদ, ভোলা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম

ওয়াবদা বধ্যভূমি ।  ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ওয়াবদা বধ্যভূমি । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর দ্বীপ জেলা ভোলা হানাদারমুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে টিকতে না পেরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী লঞ্চযোগে ভোলা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সেই সাথে শেষ হয় দীর্ঘ অত্যাচার-আর সূচনা হয় স্বাধীন ভোলার বিজয়োল্লাস।

সেদিন সকাল থেকেই হানাদারদের পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার-হাজার মানুষ দলে দলে নেমে আসে রাজপথে। পুরো শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিজয়ের আনন্দ, উল্লাস আর স্বাধীনতার উত্তাল স্রোত।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানি বাহিনী ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে (তৎকালীন ওয়াপদা) ঘাঁটি স্থাপন করে। এই ক্যাম্পেই অসংখ্য নিরীহ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে হত্যা করা হতো। পাশের এলাকাতেই দেওয়া হতো গণকবর-যা আজ ‘ওয়াবদা বধ্যভূমি’ নামে পরিচিত।

এ ছাড়া ভোলা খেয়াঘাট এলাকা থেকেও মানুষকে হত্যা করে তেতুলিয়া নদীতে ভাসিয়ে দিতো হানাদাররা।

ভোলা সরকারি স্কুল মাঠ, টাউন স্কুল মাঠ, আলীয়া মাদ্রাসা চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নিতেন। টনির হাট, দেউলা তালুকদার বাড়ি, বোরহানউদ্দিন বাজার, গুপ্তের বাজার ও গরুর চোখা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা মুখোমুখি যুদ্ধ করেন হানাদার বাহিনীর সঙ্গে।

ভোলা ছিলো ৯ নম্বর সেক্টর, সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলের নেতৃত্বে। পাকিস্তানি বাহিনী ওয়াপদা ভবনে অবস্থান নিলে মুক্তিযোদ্ধারা ১০ ডিসেম্বর রাতে ঘেরাওয়ের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু পরাজয় অনিবার্য জেনে পাক সেনারা আগেই পালিয়ে যায়।

মুক্তিযোদ্ধারা দৌলতখান ও চরফ্যাশন থানায় আক্রমণ করে অস্ত্র সংগ্রহ করেন এবং তা দিয়ে বিভিন্ন ফ্রন্টে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর ভোলার জনগণকে আরও উজ্জীবিত করে তোলে।

১০ ডিসেম্বর পাক হানাদারদের পালানোর খবর শহরময় ছড়িয়ে পড়লে মুক্তিকামী জনতা ভোলার খালে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করে। হানাদাররা গুলিবর্ষণ করতে করতে লঞ্চ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে মিত্রবাহিনীর বিমান হামলায় তাদের কার্গো লঞ্চটি ডুবে যায়; হানাদার বাহিনীর সব সদস্য সেদিন নিহত হয়।

এভাবেই ১০ ডিসেম্বর ভোলা সম্পূর্ণরূপে হানাদার মুক্ত হয়। স্বাধীনতার সেই গৌরবময় দিনের স্মৃতি আজও ভোলাবাসির হৃদয়ে অমর হয়ে আছে। ১০ ডিসেম্বর ভোলা মুক্ত দিবস ভোলার ইতিহাসে চিরঅম্লান এক গৌরবগাঁথা দিবস।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!