বগুড়ার শিবগঞ্জে প্রেম ও কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। অপহরণের সময় প্রতিবাদ করায় শাকিরুল ইসলাম নামে এক প্রাইভেট শিক্ষককে বেধড়ক মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বরকতিয়া ঈদগাহ মাঠের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে ।
ভুক্তভোগী ছাত্রী রিয়া মুনি স্থানীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার মা রাবেয়া বেগম এদিন দুপুরে শিবগঞ্জ থানায় রাকিবসহ আটজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- পৌর এলাকার রাঙ্গামাটি গ্রামের মৃত এরশাদের ছেলে রাকিব, জিন্নার ছেলে অপূর্ব, জহুর মিয়ার ছেলে অন্তর, জহুরুলের ছেলে রিদয়, মাসুদের ছেলে নাহিদ, আসাদের ছেলে আজম, অর্জুনপুর গ্রামের সাইফুলের ছেলে মেহেদি, সুলতানপুর আশরাফুলের ছেলে খায়ের।
অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কিশোর গ্যাং সদস্য রাকিব (মৃত এরশাদের ছেলে) রিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব ও অশ্লীল কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রিয়াকে নানাভাবে হয়রানি ও হেনস্তা করে। শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে রাকিব ও তার সহযোগীরা রিয়াকে একা পেয়ে পথরোধ করে এবং জোর করে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় প্রাইভেট শিক্ষক শাকিরুল বাধা দিলে রাকিব ও তার দলবল তাকে হকিস্টিক ও বার্মিজ চাকু দিয়ে আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শাকিরুলকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রিয়ার বড় চাচা মুকুল হোসেন বলেন, ‘এর আগেও গত শুক্রবার রিপনসহ তার সহযোগীরা বাড়ি থেকে রিয়াকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল। সেসময় এলাকাবাসী দুইজনকে আটক করে, পরে অভিভাবকেরা ক্ষমা চেয়ে নিয়ে যান। এরপরও এমন ঘটনা ঘটায় আমরা আতঙ্কিত।’
এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানার ওসি শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :