বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ শহীদ আবু রায়হান রাহিমের (২৯) কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে দুপচাঁচিয়া পৌর কবরস্থানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরুখ খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী, থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম এবং শহীদ রাহিমের পরিবার ও স্বজনেরা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া চলাকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহীদ রাহিমের মা রওশন আরা বেগম, স্ত্রী দিলরুবা খাতুন ও চার বছরের শিশুসন্তান আবু সোয়াইব। সন্তান হারানোর বেদনায় দিশাহারা পরিবারটি এখনো বিচারের অপেক্ষায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আবু রায়হান রাহিম উপজেলা যুবদলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং একটি টিস্যু কোম্পানিতে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন।
গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেওয়ার সময় থানা বাসস্ট্যান্ড থেকে কলেজ গেটের দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎই আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস থেকে হামলা ও গুলিবর্ষণ হয়। এতে রাহিমের দুই পায়ে গুলি লাগে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সেই দিনই কাহালু উপজেলার বীরকেদার গ্রামের আরেক শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম মুনির (২২) মিছিলে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে শহীদ রাহিমের মা রওশন আরা বেগম গত বছরের ১৭ আগস্ট দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বেলাল হোসেনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
ওসি ফরিদুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত মামলার ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে স্থানীয় প্রশাসন ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণে নানা কর্মসূচি পালিত হলেও ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার প্রক্রিয়া অনেক ধীরগতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার।