ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫

সারিয়াকান্দি সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার সারিয়াকান্দি কড়িতলা-বগুড়া সড়কের বেহাল দশা স্থানীয়দের জন্য বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। উপজেলার কড়িতলা সড়কের জোরগাছা সেতুর পশ্চিম থেকে কড়িতলা বাজার পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং ও ইট-খোয়ার উঠে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। কোথাও কোথাও সড়কের দুই ধারের ভাঙা অংশে সড়ক সংকুচিত হয়ে গেছে।

সড়কের বাঙালি নদীর উপর নির্মিত জোরগাছা সেতুর অবস্থা একেবারেই খারাপ। সেতুর পশ্চিম পাশের সড়কের মাটি এবং কার্পেটিং বৃষ্টির পানিতে ধ্বসে গেছে। এতে সেখানে বিশালাকার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর উপরিভাগের বেশ কিছু এলাকায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করেন। বৃষ্টির সময় গর্তগুলোতে পানি জমে যাত্রীরা কাঁদামাখা অবস্থায় চলাচল করতে বাধ্য হন। সড়কটির মাধ্যমে হাজার হাজার বাস, ট্রাক, ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি যানবাহন চলাচল করে। এই সড়কটি গাবতলি, সারিয়াকান্দি এবং ধনুট উপজেলা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও বগুড়া সদর জেলার সঙ্গে সংযুক্ত।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচলও প্রায় অমীমাংসিত। মাটি-বালুবাহী বড় বড় ট্রাক, ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটির ক্ষতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের বেহাল দশা হলেও এখনও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

জোরগাছা গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম বলেন, “সড়কের অবস্থার কারণে আমাদের দৈনন্দিন চলাচল অত্যন্ত দুর্ভোগসাধ্য। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।”

উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম সিপন বলেন, “আমার ইউনিয়নসহ সারিয়াকান্দি উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের প্রধান সমস্যা হলো এই সড়কের বেহাল দশা। সড়ক সংস্কারের জন্য আমরা বহু দপ্তরে আবেদন করেছি, কিন্তু এখনো সংস্কার হয়নি। এটি আমাদের এলাকার প্রধান দাবি।”

সড়ক বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার জানান, “সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু অনুমোদন হয়নি। সারিয়াকান্দি থেকে ৯টি সড়ক সংস্কারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, যার মধ্যে ৪টির অনুমোদন মিলেছে, কিন্তু এই সড়কটি তাতে নেই। আমরা পুণরায় প্রস্তাব পাঠাবো।”