ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত খসড়া আসন বিন্যাস নিয়ে দেশজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এই প্রেক্ষাপটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের অন্তর্গত বিজয়নগরের বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংযুক্ত করার প্রস্তাবের পক্ষে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্য ঘিরে এলাকায় চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৮টার দিকে এ ঘটনায় বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শত শত এলাকাবাসী মশাল মিছিল করে বিক্ষোভ জানায়। এ সময় তারা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্যকে মিথ্যা ও এলাকাবাসীর আবেগের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নেন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, কৃষক দল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, বুধন্তী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মাহবুবুর আলম, সাধারণ সম্পাদক রাস্টু মিয়া, যুবদল সভাপতি মো. কামাল মিয়া, ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন খোকন, কৃষক দলের রতন মোল্লাসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ‘ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা যদি সত্যিকার অর্থে এই ইউনিয়নের সন্তান হয়ে থাকেন, তবে তিনি ইউনিয়নের মানুষের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিতেন। বরং তিনি নিজের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করেছেন। যা কখনোই একজন রাজনৈতিক নেত্রীর কাছে প্রত্যাশিত নয়।’
তারা অবিলম্বে বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে আগের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান এবং বলেন, জনগণের মতামত উপেক্ষা করে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্তই টিকবে না।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ৩০০ আসনের খসড়া সীমানা পুনর্নির্ধারণ তালিকা প্রকাশ করে। তাতে বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংযুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।