ঢাকা সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫

আইনশৃঙ্খলায় ছাড় নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনই অঙ্গীকার: জেলা প্রশাসক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেছেন, ‘এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’ আসন্ন নির্বাচনই এখন প্রশাসনের বড় অঙ্গীকার বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জেলা প্রশাসক। 

তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো চাই না আইনশৃঙ্খলা খারাপ অবস্থায় যাক। পুলিশ সুপারও নতুন এসেছেন, তার সঙ্গেও কথা বলবো। সবার সঙ্গে কথা বলে আইনশৃঙ্খলা ভালো রাখতে হবে, এতে কোনো ছাড় দেব না।’

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। সেটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে। আমি রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলেছি। আপনারাও চান সুন্দর নির্বাচন হোক। তাহলে দলীয় লোকজনকে হানাহানি-কাটাকাটি থেকে নিবৃত্ত রাখার ব্যবস্থা করুন।’

তিনি বলেন, ‘গত ১৬-১৭ বছর মানুষ ঠিকমতো ভোট দিতে পারেননি। এ নিয়ে মানুষের মনে কষ্ট আছে। নির্বাচনটাই তাই এখন আমাদের বড় অঙ্গীকার। এর ফাঁকে আমাদের আরও অনেক কাজ করা উচিত।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রঞ্জন চন্দ্র দে এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আক্তার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এহসান মুরাদ।

স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক মো. আরজু, খ আ ম রশিদুল ইসলাম, মনজুরুল আলম, পীযুষ কান্তি আচার্য, ইব্রাহিম খান সাদাত, দীপক চৌধুরী বাপ্পী, নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, আল আমিন শাহিন, সৈয়দ মো. আকরাম, মজিবুর রহমান খান, শিহাব উদ্দিন বিপু, নজরুল ইসলাম শাহজাদা, উজ্জল চক্রবর্তী, সেলিম পারভেজ, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, শফিকুল ইসলাম, ফজলে রাব্বী প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন দপ্তর সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের পর নজরে এসেছে ময়লা-আবর্জনা, ধুলাবালি, রাস্তাঘাট ভালো নয়। এ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলেছি। রাস্তাঘাটের এই বেহাল অবস্থা কেন, তা জানতে চেয়েছি। এখানে উন্নয়ন কাজ বেশি পরিমাণে চলমান। যত দ্রুত সম্ভব কাজগুলো শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক পৌরসভা করেছি, কিন্তু আধুনিক ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কয়টা করেছি? আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, এটা সত্যি। যেখানে যাই, সেখানেই ময়লা। এতো বেশি ময়লা উদ্বেগের কারণ। এগুলো দ্রুত অপসারণ করতে হবে। শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পৌরসভার রাস্তা ও ড্রেন বড় করতে হবে।’

জেলা প্রশাসক জানান, নদী থেকে ইজারাদাররা শর্ত লঙ্ঘন করে মাটি-বালি কাটায় প্রশাসন ইতোমধ্যে কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।

মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রেসক্লাব নেতারা নতুন জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।