ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। তাকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় বদলি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শফিকুল ইসলাম প্রায় পাঁচ বছর ধরে নান্দাইলে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকায় সব ঠিকাদারের সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠেছিল। এ সুযোগে ঠিকাদারদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে তিনি আর্থিক ফায়দা আদায় করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় গত ১৭ নভেম্বর ফেসবুকে তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি অফিসে তার চেয়ারে বসে একজনের কাছ থেকে ঘুষের টাকা নিয়ে তড়িঘড়ি করে টেবিলের ড্রয়ারে রাখছেন; কিন্তু বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এগিয়ে আসেন সংশ্লিষ্ট অফিসের ঠিকাদাররা।
পরদিন ১৮ নভেম্বর তারা (ঠিকাদাররা) অফিসের কেউ না হয়েও নান্দাইল উপজেলা এলজিইডি অফিসে সাংবাদিকদের ডেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সম্মেলনে তারা প্রকৌশলীর টাকা গ্রহণের ভিডিওটি ঘুষ গ্রহণের ভিডিও নয়, সেটি বিয়ের উপঢৌকন বলে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামকে নান্দাইল থেকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় বদলির ব্যবস্থা করে। বদলি হওয়া উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে তার অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল মালেক বিশ্বাস বদলির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, `রোববার হেড অফিস থেকে তাকে বদলি করা হয়েছে, তবে কী কারণে বদলি করা হয়েছে, সেটা তো বলতে পারব না, সেটা প্রশাসনিক বিষয়।'



