ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

প্র্যাকটিক্যাল নম্বর না পাঠানোয় ফরিদগঞ্জে মজিদিয়া মাদ্রাসার সব পরীক্ষার্থী ফেল

চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার মূল ফটক। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্র্যাকটিক্যাল বিষয়ের নম্বর শিক্ষা বোর্ডে না পাঠানোর কারণে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার এসএসসি (ভোকেশনাল) শাখার সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। ফেল করা বিষয়টি ছিল ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট ট্রেইনিং’।

রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখার সিনিয়র শিক্ষক শামসুদ্দিন এবং অধ্যক্ষ মুফতি আনোয়ার মোল্লা।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৫ সালের এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তারা নিয়মিতভাবে লিখিত ও প্র্যাকটিক্যাল উভয় পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সবাই ফেল করেছে। পরবর্তীতে ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবাই ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট ট্রেইনিং’ বিষয়ের জন্য ফেল করেছে।

পরীক্ষার্থী মো. মোস্তফা কামাল ও মো. আল আমিন জানান, আমরা সব পরীক্ষা দিয়েছি। ওই বিষয়ে স্যার আমাদের কাছ থেকে কিছু মালামাল কেনার কথা বলে টাকা চেয়েছিলেন।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভোকেশনাল শাখার সিনিয়র শিক্ষক শামসুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘নম্বর সময়মতো পাঠানো হয়নি বলেই ফল খারাপ এসেছে।’ তবে এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল সংশোধন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আনোয়ার মোল্লা বলেন, ‘আমরা ৮ জুলাই প্র্যাকটিক্যাল বিষয়ের নম্বর বোর্ডে পাঠিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত ফলাফল সংশোধন হয়ে যাবে।’

ফরিদগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গাউছুল আজম পাটওয়ারী বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে কিছু জানতাম না। সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছে, এটা অস্বাভাবিক। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। কেন এমন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।’