সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১১:১৪ এএম

চাঁদপুর পৌরসভায় পথকুকুরকে দেওয়া হচ্ছে জলাতঙ্ক টিকা

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১১:১৪ এএম

চাঁদপুরে পথকুকুরকে জলাতঙ্ক টিকা দেওয়া হচ্ছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চাঁদপুরে পথকুকুরকে জলাতঙ্ক টিকা দেওয়া হচ্ছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জনগণের নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে চাঁদপুর পৌরসভা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বেওয়ারিশ পথকুকুরকে জলাতঙ্ক টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক। তিনি বলেন, গত ১০ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে সোমবার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে কর্মসূচি বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জানা গেছে, দুই সেশনে পরিচালিত এই টিকাদান কার্যক্রমের প্রথম সেশন চলে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় সেশন চলে রাত ৯টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত। শহরের কুকুরগুলো যেন জলাতঙ্কে আক্রান্ত না হয় এবং মানুষ ও প্রাণী উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এ লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চলমান এই কার্যক্রমে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা-কালীবাড়ি মোড়, নতুন বাজার, ইচলী ঘাট, ঢালির ঘাট, পালের বাজার, মেডিকেল কলেজ, হাজী মহসীন রোড, ছায়াবানী, কয়লা ঘাট, বড় স্টেশন, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, চৌধুরী ঘাট, চিত্রলেখা মোড়, বিপনীবাগ, ইলিশ চত্বর, স্বর্ণখোলা, মাদ্রাসা রোড, বাসস্ট্যান্ড, চেয়ারম্যান ঘাট, জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলাকা, দর্জিঘাট, ষোলঘর ও পুরান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক কুকুরকে ইতোমধ্যে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। টিকা প্রয়োগ করা কুকুরগুলোকে একই সাথে রং করে দেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, জনগণের উচিত কুকুরকে শত্রু মনে না করে প্রতিবছর জলাতঙ্ক টিকা দেওয়া। কুকুর কারো শত্রু নয়, বরং বন্ধু। ভালোবাসা ও যত্ন পেলে কুকুর কখনোই ক্ষতি করে না।

তিনি আরও বলেন, এ কার্যক্রমে জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসক অত্যন্ত আন্তরিক। কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা থেকে ৭ সদস্যের অভিজ্ঞ ‘ডগ ক্যাচার’ দল আনা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের একজন মনিটরিং অফিসারসহ অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, প্রতিমাসের উন্নয়ন সমন্বয় সভায় আলোচনা হয় যে শহরে পথকুকুরের আনাগোনা বেড়েছে। জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পথকুকুরদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাণিসম্পদ দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ কার্যক্রমে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছেন।

তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা শহরকে জলাতঙ্কমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে চাই। জনসচেতনতা বাড়লে ভবিষ্যতে জলাতঙ্কজনিত ঝুঁকি আরও কমে আসবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!