চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, লুটপাট এবং ককটেল হামলার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর দাবি, ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একাধিক সহিংস ঘটনা ঘটেছে, যা জনমনে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘জিয়া মেম্বার’ বাহিনীর বিরুদ্ধে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আতঙ্কে এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়, তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক মারামারির ঘটনায় রাসেল ও পাভেল নামে দুই ভাইসহ তিনজন কারাগারে রয়েছেন। সেই সুযোগে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে প্রথম দফা ককটেল হামলা চালানো হয়। পরদিন সকালে আবারও একই পদ্ধতিতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইউপি সদস্য জিয়ার ছেলে রিশান এবং স্কুলপাড়া এলাকার আমিরুল ইসলাম স্থানীয় কিশোর গ্যাঙের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের কাছে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ অবৈধ অস্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মহানন্দা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আগেও এই গোষ্ঠী প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করেছে বলে অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘ইসলামপুর আমাদের স্থির থাকতে দেয় না। চরাঞ্চলের মানুষ এমনিতেই কিছুটা উৎশৃঙ্খল। গ্রুপিংয়ের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।’
তিনি জানান, ‘গতকাল রাতেই ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাই, কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো যায়নি। আজ সকালেও দুই পক্ষ মুখোমুখি হয়েছিল, তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’
এলাকাবাসীর দাবি, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি চাল চুরি, বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। ফলে তার দাপটে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এখনই প্রয়োজন প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ, নইলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
আপনার মতামত লিখুন :