১০০ টাকার বিনিময়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন এক যুবদল নেতা। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। এ ঘটনায় ওই যুবদল নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে দলটি।
যুবদল নেতার নাম আবুল কাশেম। তিনি করের হাট ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১১ মে) বিকেলে আবুল কাশেম করেরহাট ইউনিয়নের ত্রিপুরা পাড়ায় নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
জানা যায়, ওই কিশোরী এদিন প্রাইভেট পড়ে ঘরে ফিরে রান্নার কাজ করছিল। এ সময় আবুল কাশেম বাড়ির উঠানে এসে পানি চাইলে কিশোরী তাকে পানি দেয়। এরপর হঠাৎ সে কিশোরীর ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর তাকে ১০০ টাকা দিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক শরীরের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। এক পর্যায়ে তার হাত থেকে ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে চিৎকার দেয় ওই কিশোরী।
এরপর আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তবে, আবুল কাশেম দ্রুত মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ওই এলাকার সমাজকর্মী সুরেশ বারন ত্রিপুরা বলেন, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর একজন দিনমজুরের মেয়েকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে। একটা অসহায় পরিবারের মেয়েকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। আমরা থানা থেকে আশ্বাস্ত পেয়েছি। তারা দ্রুত দোষীকে আইনের আওতায় আনবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবুল কাশেম। তিনি বলেন, আমি ওই কিশোরীর বাবার কাছে টাকা পাই। সেই টাকা উদ্ধার করতে তার বাড়িতে গেলে মেয়েটির বাবার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমি তাদের বাড়ির উঠান থেকে চলে আসি। ঘরে ঢুকে কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ সত্য নয়।
এ ঘটনায় সোমবার (১২ মে) দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব লায়ন মো. দেলোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আবুল কাশেমকে দল ও পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কিশোরীকে শ্লীলতাহানির সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :