এনসিটি, লালদিয়া এবং বে টার্মিনালের অপারেটর আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী পরিচালক আশিক চৌধুরী।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর ফটকে এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ডিসেম্বর নাগাদ বন্দরের অপারেটরের কাজ বিদেশি অপারেটরের কাছে হস্তান্তর করতে।’
আশিক চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা যাদের দিচ্ছি তাদের কয়েকটি দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। আমরা কখনো আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়ে কাজ করিনি। যে কারণে কিছু সমস্যা ফেস করতে হচ্ছে। আজকেও বেশ কিছু টেকনিক্যাল ইস্যু নিয়ে উনারা সাফার করছেন। তাই প্রত্যাশিত ভলিয়ুম হয়নি। তারা ফাইন্যান্সিং লোকালি নেবেন না ফরেন নেবেন এটা কমিপ্লিটলি ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্রাকচারাল ডিসিশন। উনারা বাংলাদেশ থেকে লোন নিলে টাকা ফেরত দেবেন। আমার মনে হয় না, উনারা বাংলাদেশের টাকা মেরে চলে যাবে। ব্যাংকিং আইনে অ্যাকশন পজিবল।’
সিডিডিএল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাকে এপ্রিল মে মাসে যখন এসেছিলাম প্রশ্ন করা হয়েছিল, দেশি একজন অপারেটর তো খুব ভালো করেছে, উনি ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন টিইইউস করেছেন। কেন আপনারা খালি খালি অপারেটর চেঞ্জ করতে হবে? এখন তো আমরা চেঞ্জ করে প্রমাণ করে দিলাম। আসলে খুব ভালোটা যে কতটুকু এটা নিজেরাই জানি না। আমাদের এটা নির্ধারণ করা নাই এ বন্দর থেকে ম্যাক্সিমাম কতটুকু ভলিয়ুম পাওয়া সম্ভব। রিপোর্ট বলছে এ বন্দর থেকে ১ দশমিক ৯ মিলিয়ন টিইইউস পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব। গত বছর আমাদের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১ দশমিক ৩। সিডিডিএল প্রত্যাশা করছে এটার ওপরে চলে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটার সাবজেকটিভ জাজমেন্ট না করে সিডিডিএল ভালো করছে এটা বেস্ট নাকি সেটা বলার ক্ষমতা আসলে যারা এক্সপার্ট তাদের কাছেই আছে। দেশের জন্য কোনটা ভালো হবে সেটি করতে হবে। সিডিডিএলকে দিয়ে যদি ম্যাক্সিমাম ক্যাপাসিটি অ্যাচিভ করতে পারি ফ্যান্টাস্টিক। যদি আমাদের মনে হয়, না এখানে আরও কিছু টেকনোলজিক্যাল অ্যাডভেনটেজ আনা সম্ভব, আরও গ্লোবাল রেসপেকটিস আনলে আরও হয়তো ভালো হতে পারে তাহলে সেই কাজটিতে যাওয়ার চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় দেখেছি বাংলাদেশে পাঁচ বছরের পরিকল্পনার প্রকল্প শেষ হয় ১৫ বছরে গিয়ে। তখন গ্লোবাল কম্পিটিশনে আমরা দ্রুত পিছিয়ে যাচ্ছি। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে আমরা অনেক ধীরে আগাচ্ছি। সেটাকে আমরা ব্রেক করতে চাই। আমরা চাই খুব দ্রুত এ প্রকল্পগুলো কমপ্লিট করব। আমাদের ইচ্ছে হচ্ছে, এই ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা বড় পোর্টগুলোর খুব মাইলস্টোন কিছু প্রগ্রেস করে দিয়ে যেতে চাই। কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করে দিতে চাই। কিছু গ্রাউন্ড ব্রেক করা শুরু হয়ে যাবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন