চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ বুড়িশ্চর এলাকায় নতুন আতঙ্কের নাম ভূমিদস্যু গুলজার আলম। গুলজারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তির জমিতে জোরপূর্বক সাইনবোর্ড টাঙিয়ে চাঁদাবাজি ও জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগকারীরা জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের সময় আওয়ামী নেতা ইউনুস গনির নাম ভাঙিয়ে জমি দখল, চাদাঁবাজি করতেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এলাকার মানুষ কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলেও আবারও সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গুলজার গং নতুন উদ্যমে ফিরে আসায় আবারও অস্বস্তিতে কুয়াইশ বুড়িশ্চরের সাধারণ মানুষ। গুলজার এখন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষের জমিতে সাইনবোর্ড টাঙাচ্ছেন, লোক দিয়ে সীমানা প্রাচীর ভাঙাচ্ছেন এবং জমি জবরদখল করছেন।
ভুক্তভোগী মাসুদ ও ঝন্টু দাশ জানান, ‘আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি ভুয়া দলিল ও খতিয়ান বানিয়ে জবরদখল করে। পরবর্তীতে আমরা আইনের আশ্রয় নিলেই গুলজারের জালিয়াতি ধরা পড়ে। পুলিশ তাকে আটক করে, বেশ কিছুদিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও জবরদখল শুরু করে গুলজার।’
ভুক্তভোগী কুলসুমা বেগম জানান, ‘১৪ বছর আগে আমার কেনা সম্পত্তিতে হঠাৎ গুলজার সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। স্থানীয় ব্যক্তিদের বিষয়টি জানানোর পরবর্তীতে সালিশে বৈঠকে গুলজার তার পক্ষে কোনো ডকুমেন্টস হাজির করতে পারেননি। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আমার জমি বাউন্ডারি ওয়ালে ভেতরে প্রবেশ করে গাছ কেটে বাউন্ডারি ওয়ালের ক্ষতি সাধন করে। জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করে।’
এ বিষয়ে গুলজারকে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর না দিয়ে তার ছেলে রিপনের হাতে ফোন দিয়ে দেন।
গুলজারের ছেলে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমরা জমি দখল করেছি, কী করবেন করেন!’
‘আপনারা অন্যের জমি এভাবে দখল করতে পারেন?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে হুমকি সুরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্ষমতা আছে, দখল করেছি ও করব।’
২০১৭ সালে ২২ নভেম্বর বুড়িশ্চরে জমি দখলে গিয়ে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা করে গুলজার ও তার পেটুয়া বাহিনী। এ সময় রুনু কুমার দাশসহ পাঁচজন আহত হন। এই ঘটনায় মামলার আসামি হন গোলজার।
কুয়াইশ, বুড়িশ্চর, হিন্দুপাড়া, ধুপকুল এলাকায় একাধিক ব্যক্তির সম্পত্তি দখল করার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে গুলজারের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ।


