বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং রাঙ্গুনিয়া থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনীত প্রার্থী হুমাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, "রাঙ্গুনিয়ার মানুষ আমাকে বেছে নেবে, সেই ভরসায় জাতীয়তাবাদী দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তারেক রহমান সাহেব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্তান ধানের শীষের প্রতীকে রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচন করবে। কারণ উনার বিশ্বাস, রাঙ্গুনিয়ার মানুষ অলরেডি ধানের শীষের পক্ষে ভোট দিয়ে ফেলেছে। তাই সকলের দায়িত্ব, তারেক রহমান সাহেবের এই বিশ্বাস যেন কোনোভাবে না ভাঙে।"
শনিবার (০৮ নভেম্বর) বিকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের উত্তর পদুয়া মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানার বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ শওকত আলী নূর। উদ্বোধক ছিলেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা জাফরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, "যারা নেতৃত্ব দিতে চেয়েছে কিংবা দিচ্ছে, সকলের চাওয়া ধানের শীষের বিজয়। তারা সকলে বলেছে, নেতৃত্ব যেই দিক না কেন, সকলে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবেন। আমরা সকলে মিলে ধানের শীষের জন্য কাজ করব।"
হুমাম কাদের চৌধুরী বলেন, "আমার বাবা আমাকে শিখিয়েছেন, রাজনীতি করতে হলে শরীরের চাইতে কলিজাটা বড় হতে হয়। যারা আমাদের থেকে দূরে সরে গেছে, ভিন্ন দল করত, তাদেরকেও সুযোগ করে দিতে হবে। আগে হয়তো ভুল হয়েছে, এখন সঠিক রাস্তায় ফিরে আসার সুযোগ করে দিচ্ছি। রাঙ্গুনিয়ার সুন্দর ভবিষ্যত রচনায়, সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।''
রাঙ্গুনিয়ায় গ্রুপিং অপরাজনীতির সুযোগ নেই উল্লেখ করে হুমাম কাদের চৌধুরী বলেন, "রাঙ্গুনিয়ার মাটিতে গ্রুপিং, ভিন্ন দলের অপরাজনীতি, কিংবা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না। আমাদের ওপর যে অত্যাচার তারা চালিয়েছে, আমরা যেন সেই অত্যাচার কারোর ওপর না করি। রাঙ্গুনিয়ার জন্য নতুন স্লোগান হতে হবে, ❝ভালবাসার রাঙ্গুনিয়া❞। এখানে নোংরা রাজনীতির আর কোন সুযোগ নেই। গ্রুপিংয়ের জায়গা এখানে আর নেই। মানুষকে সম্মান দিতে পয়সা খরচ হয় না, খালি মনটা বড় হতে হয়৷ বাবা মারা যাওয়ার সময় আমাকে মানুষের ভালোবাসা আর দোয়া দিয়ে গেছেন।"
তিনি বলেন, "একটা সময় যেই এলাকাটিকে আওয়ামী লীগ বলত, এটা তাদের ঘাটি, তাই বিসমিল্লাহটা সেই জায়গা থেকে করলাম। কারণ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলতে কিছু নেই। তাদের নেত্রী সকল নেতাকর্মীকে রেখে দেশত্যাগ করেছে। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা তার দলের নেতাকর্মীদের ফেলে পালিয়ে যায় না, এটার প্রমাণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রী দিয়েছেন৷ বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে প্রমাণ করে দিয়েছেন নেতৃত্ব কিভাবে দিতে হয়।"
সভায় মাদ্রাসার দাতাসদস্য এবং আগত অতিথিদের সম্মাননা স্মারক দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। এসময় বিশেষ টুপি পরিয়ে হুমাম কাদের চৌধুরীকেও সম্মান জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন