চট্টগ্রামের পটিয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার রাশেদুল আলম পাভেলের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রেললাইনের পাশে দোকান বসানোর অভিযোগ উঠেছে। জমিরিয়া মাদ্রাসার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক সভার সময় এসব দোকান বসানো হয়।
মাদ্রাসার মুহতামিম আবু তাহের কাসেমী নদভী বলেন, ‘রেললাইনের পাশে দোকান বসানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা স্টেশন মাস্টারকে দোকানগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য জানিয়েও, অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রতি বছরই দোকান বসে।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে পটিয়া রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী মেইন লাইন ঘেঁষে পঞ্চাশেরও বেশি দোকান বসানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব দোকান যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের সভার শেষ দিনে একজন পান বিক্রেতা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, স্টেশন মাস্টার পাভেল মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে দোকান বসানোর অনুমতি দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে পয়েন্টম্যান মাহবুবুর রহমান সাজু দোকান বসানো ও টাকা আদায়ের তদারকি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ কারণে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ট্রেনগুলোকে মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইন ব্যবহার করতে হবে, যা যাত্রীদের জন্য ভোগান্তি বাড়াবে।
স্থানীয় জয়নাল নামের এক ব্যক্তি জানান, ‘আমি আগে দোকান বসাতাম, কিন্তু এবার বসাইনি। স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে কারা কথা বলে দোকানগুলো বসিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না।’
স্টেশন মাস্টার রাশেদুল আলম পাভেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রেললাইনের পাশে দোকান বসানোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কিছু দোকান পুলিশ রাতে তুলে দিয়েছে, বাকিগুলোর বিষয়ে জিআরপিকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনিসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


