ঢাকা শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
বিজিবি ও বিএসএফের লোগো।

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় সীমান্ত সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধীন দর্শনা বিওপি এলাকার সীমান্তের ৭৬ নং মেইন পিলারের নিকট শূন্য লাইনে বাংলাদেশ অংশে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান এবং বিএসএফের পক্ষে ৩২-ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে সাম্প্রতিক সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সাম্প্রতিক সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অভিবাসন হিসেবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশ-ইন করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অধিনায়ক মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কোনো নাগরিককে পুশ-ইন করা একদিকে যেমন সীমান্ত আইন লঙ্ঘন। অন্যদিকে, আন্তজার্তিকভাবে মানবাধিকার লঙঘনের সামিল।’

‘বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভবিষ্যতে যাতে সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে পুশ-ইনের মতো কোনো ঘটনা সংঘটিত না হয় সে লক্ষ্যে বিএসএফের স্থানীয় কমান্ডারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য বিএসএফের কমান্ড্যান্টকে অনুরোধ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করার প্রয়োজন দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালিকা বিজিবির কাছে হস্তান্তর করতে হবে। বর্ণিত নাগরিকদের জাতীয়তা ও পরিচয়পত্র নিশ্চিতকল্পে অতি দ্রুত সময়ে প্রত্যাবাসন করা হবে বলে বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে আশ্বস্ত করা হয়।’

ভারতে অবৈধভাবে অভিবাসনকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের প্রস্তাবিত বিষয়টির সঙ্গে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট একমত পোষণ করেন।

সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইনের ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে লোকাল কমান্ডারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে বিজিবির অধিনায়ককে আশ্বস্ত করে বিএসএফ।

এ ছাড়া সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ সীমান্ত সুরক্ষার লক্ষ্যে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম, চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্তে টহল তৎপরতা বৃদ্ধি এবং গোয়েন্দা নজরদারী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার একমত পোষণ করেন। 

সীমান্তে দায়িত্ব পালনকালে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং সীমান্ত সংশ্লিষ্ট যেকোনো ঘটনা এক অপরের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে সহমত পোষণ করেন। বৈঠক শেষে উভয়ই ব্যাটালিয়ন কমান্ডার নিকটস্থ ৭৬ নম্বর সীমান্ত পিলার পরিদর্শন করেন।