কক্সবাজার-২ (মহেশখালী–কুতুবদিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদ মনোনয়ন পেয়েছেন। এ খবরে আনন্দ-উচ্ছ্বাস করতে গিয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছেন কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ফরিদুল আলম ফরিদ। দলটির নেতাকর্মীরা তাকে সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদের নাম নিশ্চিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটল অঘটন! দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার আনন্দ যে এমন মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে আনতে পারে—এমন ঘটনাও বিস্ময়ে হতবাক করে দিয়েছে স্থানীয়দের।
পরিবার ও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, খবরটি শোনার পরপরই কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ফরিদুল আলম ফরিদ চরম উচ্ছ্বাসে চিৎকার করে ওঠেন। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, উল্লাসে লাফ দিতেই মুহূর্তের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। আচমকাই তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর দলীয় নেতাকর্মীরা যখন আলমগীর ফরিদের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার সংবাদটি ফরিদকে জানান, তখন কেউ ভাবতেও পারেননি যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়ে উঠবে। পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, ফরিদ ছিলেন সংগঠনের এক নিবেদিত প্রাণ। বহু বছর ধরে তিনি কালারমারছড়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মকাণ্ডে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী আলমগীর ফরিদের মনোনয়ন নিয়ে তিনি ছিলেন প্রবল উৎসাহী। সেই উচ্ছ্বাসই যে শেষ পর্যন্ত প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়াবে—এ কথা কেউই কল্পনা করেননি।
ফরিদের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। দলীয় নেতাকর্মীরা মরদেহ দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছেন।
অনেকেই বলছেন, এ মৃত্যু শুধু পরিবারের ক্ষতি নয়, ইউনিয়ন বিএনপির জন্যও এক অপূরণীয় শূন্যতা।



