সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

‘আ. লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে ছুরিকাঘাত

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

‘আ. লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে ছুরিকাঘাত

হামলাকারী জিসান। ছবি- সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে ‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। 

শনিবার (১০ মে) রাতে উপজেলার পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। 

আহতরা হলেন- জিয়া মঞ্চের সদস্যসচিব ও নবিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল, তার ছেলে সৌরভ, একই গ্রামের বিএনপি কর্মী জাহের মিয়ার ছেলে জাহিদুল ও ইউনুস মিয়ার ছেলে শাকিল।
 
আহতদের মধ্যে জাহিদুল মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন। বাকিরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (৩ মে) মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে সৌরভের সঙ্গে জিহাদের বিএনপি-আওয়ামী লীগ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়।

এক-পর্যায়ে ‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দুই পক্ষের অভিভাবকদের মাধ্যমে সুরাহা হলেও এর জের ধরে শনিবার রাতে নবিয়াবাদ মাদ্রাসার সামনে জিহাদ ও জিসানের নেতৃত্বে ৫-৬ জনের একটি দল আচমকা সৌরভের ওপর ধারালো ছোরা দিয়ে হামলা চালায়। 

এ সময় সৌরভকে বাঁচাতে এলে তার বাবা জুয়েল মিয়া, কাকা শাকিল ও তার সমবয়সী জাহিদুলকে চোখে, পেটে, পিঠে ও হাতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। 

আহত দু’জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমেক হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে জাহিদুলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

আহত জুয়েলের ভাই বিএনপি নেতা হাবীবুর রহমান বলেন, ছেলেরা ঝগড়া করেছে। এগুলো নিয়ে তিন দিন আগে এলাকায় সামাজিকভাবে মীমাংসা হওয়ার পরও আমার ভাই, ভাতিজাসহ বিএনপির কর্মীদের ওপর এমন নৃশংস হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।

তিনি বলেন, জাহিদুলের অবস্থা খুব খারাপ, তার একটা চোখ তুলে ফেলেছে। এখন সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। 

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!