কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় দায়ের করা আলোচিত ধর্ষণ মামলার ভুক্তভোগী নারী এখন মামলা আর চালিয়ে নিতে চান না। রোববার (২৯ জুন) রূপালী বাংলাদেশ-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমি মামলা তুলে নিতে চাই। পারিবারিক কারণে এবং সামাজিক চাপে আমাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হয়েছে।’
তবে তিনি দাবি করেন, মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাকে কেউ কোনো চাপ দেয়নি বা টাকার প্রলোভন দেখায়নি।
তিনি বলেন, এই মামলা তুলে নিতে আমাদের কেউ কোনো চাপ দেয়নি, এমনকি কেউ কোনো টাকার লোভও দেখায়নি।
ভুক্তভোগীর স্বামী দুবাই প্রবাসী। তার মতে, স্বামীর মনোভাবও মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বড় ভূমিকা রাখছে।
স্বামী মতামত তুলে ধরে ওই নারী বলেন, ‘সম্মান তো গেছেই, মামলা চালিয়ে সেই সম্মান আর ফিরবে না। তাই তিনি আমাকে মামলা না চালাতে বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা করেছিলাম ভালো কিছু প্রত্যাশায়। কিন্তু এখন আমার স্বামী এসব দেখে-শুনে আমাকে ফোনো করছেন না। তাই আমি আর মামলা চালাতে চাই না।’
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামি ফজর আলীর সঙ্গে ওই নারীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এমন দাবি করেছে স্থানীয়রা। তারা বলছে, দীর্ঘদিন ধরে ফজর আলীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। এই সুবাদে টাকার লেনদেনও করতেন ওই নারী।
উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ঘরের মধ্যে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ৫১ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।