কুমিল্লার মুরাদনগরে মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একই পরিবারের তিনজনকে বাড়ি ঘেরাও করে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরও থানায় মামলা হয়নি।
পুলিশ বলেছে, পরিবারের লোকজনকে ঘটনার পর থেকে খোঁজা হচ্ছে। আজ দুপুরের মধ্যে হয়তো পরিবারের লোকজন থানায় মামলা করবেন। কেউ না আসলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।
এদিকে কুমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টার দিকে তিনজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কড়ইবাড়ী গ্রামে এলাকাবাসী একটি মোবাইল ছিনতাই ও মাদক ‘ব্যাবসার’ অভিযোগ তুলে মা ও তার দুই সন্তানকে পিটিয়ে হত্যা করে।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৮), তার ছেলে ছেলে মো. রাসেল (৩৫) ও মেয়ে জোনাকি আক্তার (৩২)। হামলায় আহত হয়েছেন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৫)—তাকে শংকাটাপন্ন অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভর্তি করা হয়েছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে রুবির মেয়ের জামাই মনির হোসেনের সহযোগী মারুফ স্থানীয় স্কুল শিক্ষক রুহুল আমিনের একটি মোবাইল ছিনতাই করে। এ ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া এবং আকাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল রুবিকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল এবং ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে এলাকার শতাধিক লোক ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রুবি, তার ছেলে রাসেল এবং মেয়ে জোনাকি নিহত হয়। আহত হয় আরেক মেয়ে রুমা আক্তার।
আপনার মতামত লিখুন :