দিনাজপুরে দিনদিন শীতের প্রকোপ বাড়ছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে। সকাল থেকে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশার আস্তরণ দেখা গেছে।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, ভোরের দিকে আকাশ পরিষ্কার থাকায় রাতের সঞ্চিত ঠাণ্ডা জমে থাকে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে টানা ঠাণ্ডা বাতাস আসায় দিনের শুরুতেই শীতটা বেশি অনুভূত হয়। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সকাল ৬টায় সেখানে তাপমাত্রা নেমে আসে ১২ দশমকি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের অন্যতম সর্বনিম্ন। শীতের প্রভাবে তেঁতুলিয়াসহ পুরো উত্তরাঞ্চলে কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ধীর হয়ে পড়েছে।
দিনাজপুরে শীতের দাপট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটেখাওয়া মানুষ। ভোরে কাজের সন্ধানে বের হলেও ঠান্ডা, কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে শ্রম দিতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। অনেকেই কাজ শুরু করার আগে চায়ের দোকানে গরম চা খেয়ে শরীর গরম করছেন।
হিলি রেলস্টেশন এলাকার দিনমজুর ছামেদ আলী বলেন, সকাল হইলেই হিম বাতাস লাগে। হাত-পা জমে যায়। কাজ শুরু করতে গেলে হাত শক্ত হয়ে আসে। ঠাণ্ডায় কাজও কমে গেছে। আমরা তো দিন এনে দিন খাই, যেদিন কাজ পাই না, সেদিন ঘরে খাবারও থাকে না।
আরেক দিনমজুর রফিকুল ইসলাম জানান, ভোরে বের হতে ভয় লাগে। শীত অনেক বেশি। কিন্তু না বের হইলে চলবে না। যে টাকা পাই তা দিয়ে কোনোমতে সংসার চলে। শীত বাড়লে আমাদের কষ্টও বাড়ে।
শহরের বিভিন্ন স্থানে আগুন পোহানোর দৃশ্য দেখা গেছে। বাজার ও রিকশা গ্যারেজগুলোতে ভোর থেকেই শ্রমজীবী মানুষজন ভিড় করছেন শরীর গরম করতে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন