দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৫ শতাংশ, ফলে শীতের অনুভূতি আরও বেড়ে যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় মাত্র ৪ কিলোমিটার, যা অত্যন্ত কম। বাতাসের গতি কম থাকায় কুয়াশা দীর্ঘসময় স্থায়ী হচ্ছে এবং তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন দিন ধরে উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত শীতল বাতাস এবং আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় রাতের তাপমাত্রা দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঠাণ্ডার অনুভূতিও অনেক বেড়ে গেছে।
শীতের প্রকোপে জেলার জনজীবনে স্পষ্ট প্রভাব পড়েছে। সকালে কাজে বের হতে ভোগান্তি বয়ে আনছে কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশা।
কলেজছাত্রী মাহমুদা আক্তার বলেন, সকালে কলেজে যেতে খুব ঠাণ্ডা লাগে। কুয়াশার কারনে বাস দেরিতে আসে। আর রাস্তা দেখা না যাওয়ায় ভয়ও লাগে।
রিকশাচালক আব্দুল মান্নান জানান, শীত বাড়লে যাত্রী কমে যায়। ভাড়া কম, তার ওপর ঠাণ্ডায় রিকশা চালানোও কঠিন। কিন্তু রোজগারের জন্য তো বের হতেই হয়।
দোকানি রবিউল হোসেন বলেন, শীত বাড়ায় গরম কাপড় কেনার ভিড় বেড়েছে। তবে ভোরে ঠাণ্ডায় দোকান খোলা রাখাই কষ্টকর।
কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত কুয়াশা পড়ায় ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় আছে। বিশেষ করে আলু আর শীতের সবজি শৈত্যপ্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে শীত থেকে বাঁচতে স্থানীয়রা রাস্তার মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে গরম তাপ নিচ্ছেন। বাজারগুলোতে বেড়েছে শীতবস্ত্রের চাহিদা, আর পরিবহনগুলো চলছে ধীরগতিতে।
দিনাজপুরে শীতের এই তীব্রতা আগামী কয়েকদিন আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর।


