ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার প্রতিবাদে ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি আজ দ্বিতীয় দিনে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শুরু করার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকেই বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। ফলে ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক।
আন্দোলনকারীরা ১০টার দিকে একযোগে উপজেলার অন্তত সাতটি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো—হামিরদী ইউনিয়নের পুকুরিয়া রেলক্রসিং, পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড, মনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড, হামিরদী বাসস্ট্যান্ড, মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড এবং আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি বাসস্ট্যান্ড। আন্দোলনকারীরা দেশীয় লাঠিসোঁটা, চাইনিজ কুড়াল ও পাইপ নিয়ে মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো আটকে রেখেছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকার তাদের যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ভাঙ্গায় ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ
শেখ আল রাব্বি নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘সরকারের এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত আমরা মানি না এবং এর সঙ্গে আমাদের ওপর যে মামলা দিয়েছে সেটার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের আন্দোলন চলবে, আমরা রাজপথে থাকব।’
আরেক আন্দোলনকারী মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকেসহ আরও ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তারা আমাদের দমনের চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা থেমে থাকব না। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কঠিন থেকে কঠিনতর হবে।’
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি মো. রোকিবুজ্জামান জানান, সকালের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকে তা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি, কিন্তু আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরছেন না। ফলে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।’