ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কুমার নদে দেশীয় অস্ত্র হাতে কিশোর ও তরুণদের মহড়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর চার কিলোমিটারজুড়ে অন্তত ২০টি স্পিডবোট ও অর্ধশতাধিক ট্রলারে মহড়া চালায় তারা। এ সময় কিছু স্পিডবোট থেকে রামদা ও চায়নিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল নদীর প্রায় চার কিলোমিটার অংশে অন্তত ২০টি স্পিডবোট ও অর্ধশতাধিক ট্রলার নিয়ে কিশোর ও তরুণরা মহড়া দেয়। বাইসাখালি, চণ্ডীদাসদী, আতাদী ও পূর্ব সদরদী এলাকায় এই কর্মকাণ্ড চলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শত বছর ধরে বিশ্বকর্মা পূজার দিন কুমার নদে নৌকা বাইচের আয়োজন হতো। ২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে আবার শুরু হলেও রাজনৈতিক কারণে ২০১৮ সাল থেকে তা বন্ধ। এরপর কিশোর ও তরুণরা নিজ উদ্যোগে উৎসব পালন করলেও এবারই প্রথম অস্ত্র মহড়া ধরা পড়ে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্পিডবোট ও ট্রলারে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে কিশোরগ্যাং সদস্যরা অস্ত্র প্রদর্শন করছে। পুলিশ ধাওয়ার সময় তারা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
ভাঙ্গা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জগদীশ মালো বলেন, ‘নৌকা বাইচ বন্ধ থাকলেও কিশোর ও তরুণরা প্রতি বছর মহড়া দেয়। তবে স্পিডবোট থেকে অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে আমার জানা নেই।’
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ‘তাদের আটকানোর চেষ্টা করা হলেও সফল হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কিশোররা মাদারীপুরের রাজৈর থেকে ট্রলার ও স্পিডবোট ভাড়া করে এখানে আসে। রাজৈর থানাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন