সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ‘একটি কারণ’ উদঘাটন করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)।
পুলিশ বলছে, গোলাপী নামের এক নারী দিয়ে ‘হানি ট্র্যাপে’র মাধ্যমে ছিনতাই করত একটি চক্র। তেমন একটি ঘটনার ভিডিও করেছিলেন সাংবাদিক তুহিন। এরপরই ওই চক্রটি ভিডিওটি মুছে ফেলার জন্য চাপ প্রয়োগ করছিল। কিন্তু তিনি তা মোছেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিনকে হত্যা করে চক্রটি।
শনিবার (৯ আগস্ট) জিএমপি কার্যালয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান বলেন, ‘সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন একটি ছিনতাই ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। গোলাপী নামের এক নারীর ‘হানিট্র্যাপে’ এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতণ্ডার দৃশ্য ভিডিও করার পর সেটি মুছে না ফেলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলেই ১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হবে। অপরাধীরা আদালতে স্বীকার না করলেও প্রমাণই তাদের অপরাধ প্রমাণ করবে। সর্বোচ্চ দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা হবে।’
এ সময় তিনি সাংবাদিক সম্প্রদায়ের কাছে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিহত তুহিনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
হঠাৎ ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘৫ আগস্টের পর গাজীপুরে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকারত্ব বেড়েছে, ফলে অপরাধও বেড়েছে। পাশাপাশি একটি রাজনৈতিক শক্তি এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে, যা নজরদারিতে রয়েছে।’
এদিকে, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব, বাকিদের গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন—পাবনার চাটমোহরের ফয়সাল হাসান, কুমিল্লার হোমনার শাহ জালাল, সুমন, মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী, আল আমিন এবং মো. স্বাধীন। এর মধ্যে স্বাধীনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তিনজনকে সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তারা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী সকালে জানান, স্বাধীন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :