গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বামনডাঙ্গা আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার (৫১) এর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ৮ দিন পর শিক্ষার্থী রুপা আক্তার (১৪) আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার সকালে উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রুপা আক্তার আত্মহত্যা করে। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
আহত শিক্ষককে পুলিশ পাহারায় মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী মুকসুদপুরের আয়েশা সিদ্দিকা মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসার পঞ্চম জামাতের শিক্ষার্থী ছিলেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান শিকদার বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদ শিকদারের ছেলে।
ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, শিক্ষক মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মাদ্রাসা ছুটির পরে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে সে বাড়িতে এসে আমাদের জানিয়ে ঘটনার ৮ দিন পরে আজ বুধবার আত্মহত্যা করে। আমি আমার মেয়ের ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই৷
মুকসুদপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল জানান, বামনডাঙ্গা মহিলা মাদ্রাসার হুজুরের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।


