সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম

হাতকড়াসহ আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৭:২৫ পিএম

হাতকড়াসহ আদালত থেকে পালাল হত্যা মামলার আসামি

হাতকড়াসহ পালানো হত্যা মামলার আসামি জুয়েল খান। ছবি-সংগৃহীত

যশোর আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে হত্যা মামলার আসামি জুয়েল খান হাতকড়াসহ পালিয়েছেন। রোববার (১৮ মে) বিকেলে জেলা দায়রা জজ আদালতে ঘটনা ঘটে। 

জুয়েল খান মাগুরার শালিকা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। ২০২১ সাল থেকে জুয়েল কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক আল-আমিন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি জুয়েল। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মাগুরা থেকে আল-আমিনের ইজিবাইক ভাড়া করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে এনে তাকে হত্যা করে এবং ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয় জুয়েলসহ তার সহযোগীরা। 

এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর র‌্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল টিম জুয়েলসহ মামলার চার আসামিকে আটক করে এবং তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। পরে তাদের বাঘারপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই জুয়েল কারাগারে আটক ছিল।

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, এ মামলার রোববার ছিল ধার্য তারিখ। সকালে জুয়েল ও হারুন অর রশিদকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে তাদের হাজির করা হয়।

পরে আদালত তাদের ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল সোনালী তাদের দুজনকে নিয়ে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিজ তলার সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে কৌশলে জুয়েল খান হাতকড়া ভেঙে পালিয়ে যান। পরে কনস্টেবল সোনালী চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন তাকে তাড়া করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পলাতকের খবর শুনে তারা পিছু ধাওয়া করেন। এ সময় জুয়েল জজ আদালতের সামনের গেট দিয়ে দৌড়ে খড়কির দিকে চলে যান। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাসার, কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত আদালতে যান। 

একই সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম জুয়েলকে খুঁজতে অভিযানে নামে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অভিযানে রয়েছে।

যশোর কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন বলেন, জুয়েলকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বেশি সময় পালিয়ে থাকতে পারবে না।

Link copied!