ঢাকা শুক্রবার, ০৮ আগস্ট, ২০২৫

ড্রেন না থাকায় পানিতে ডুবল ৪ হাজার বিঘা জমি

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
টানা বৃষ্টিতে যশোরে ৪ হাজার বিঘা কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টিতে যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারানপুর ইউনিয়নের প্রায় ৪ হাজার বিঘা কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বর্ষায় কৃষকদের একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এবার কৃষকেরা আশঙ্কা করছেন, ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নারানপুর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া, গোয়াতুলি, বড় খানপুর, কেসমত খানপুর, বাদেখানপুর, নারানপুর, বন্দলীতলা ও বাটিকামকলি গ্রামের মধ্যবর্তী সোনাবেল ও ফাসতলা মাঠজুড়ে পানি জমে রয়েছে। জলাবদ্ধতার ফলে ধান, পাট, কলা, পেয়ারা, ড্রাগন ফলসহ বিভিন্ন মৌসুমি সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী কৃষক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই ফসল তোলার আগমুহূর্তে আমাদের জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এভাবে আমাদের কৃষি কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।’

কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ‘জমিতে পানি না থাকলে বছরে তিন-চারবার ফসল ফলানো যেত। কিন্তু এখন জমিগুলো একফসলি হয়ে পড়েছে। এতে কৃষক পরিবারগুলোর পাশাপাশি পুরো অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ৪ হাজার বিঘা জমি ডুবে গেছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় কৃষক তরিকুল ইসলাম ডাবলু সম্প্রতি চৌগাছা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা পরিষদে লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, ‘মাত্র আধা কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ড্রেন নির্মাণ করলেই পানি কপোতাক্ষ নদে নামিয়ে দেওয়া সম্ভব। ৩০ বছর আগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ড্রেন নির্মাণে উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর আর কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’

চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশাব্বির হোসাইন বলেন, ‘এই ইউনিয়নের ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। এ বছর ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ সম্পন্ন হলেও প্রায় ৫০০ হেক্টর জমি এখনো জলাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানে কৃষকদের লিখিত আবেদন পেয়েছি। দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’