যশোরের মনিরামপুরে গরুর ঘাস কেটে বাড়ি ফেরার পথে ‘পরকীয়া প্রেমিকের’ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তৃপ্তি মণ্ডল (৪০) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) উপজেলায় কৃষ্ণবাটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার তৃপ্তির মরদেহের ময়নাতদন্ত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত তৃপ্তি মণ্ডল কৃষ্ণবাটি গ্রামের অবনিশ মণ্ডলের স্ত্রী। জানা গেছে, ঘটনার সঙ্গে ‘জড়িত’ শংকর মল্লিক পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃপ্তি মণ্ডল কৃষ্ণবাটি মাঠ থেকে ঘাস কেটে ফিরছিলেন। এ সময় একই গ্রামের মুকুন্দ মল্লিকের ছেলে শংকর মল্লিক তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তৃপ্তি মণ্ডলকে উদ্ধার করে প্রথমে মণিরাপুর ও পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। সন্ধ্যায় তার বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে তৃপ্তি মণ্ডলের মৃত্যু হয়।
কৃষ্ণবাটি এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন, তৃপ্তির স্বামী অবনিশ মণ্ডল পেশায় ভ্যানচালক। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। শংকর মল্লিক বিবাহিত এবং তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তৃপ্তি ও শংকরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলে আসছিল।
তারা আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি শংকর তাকে ঘরে তুলতে চাইলে তৃপ্তি ভিটেবাড়ি লিখে দেওয়ার দাবি করেন। শংকর রাজি না হলে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এরই জেরে শংকর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৃপ্তিকে ‘হত্যা’ করতে পারেন।
মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, পরকীয়া সম্পর্কের জেরে শংকরপুর মল্লিকের হাতে তৃপ্তি খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে শংকর পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।