ঢাকা শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে কার্যক্রম গুটাচ্ছে মাইক্রোসফট?

ডিজিটাল দুনিয়া ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৪:৫৭ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

বহুজাতিক সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ শাখার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইউসুপ ফারুকসহ একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

ফলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, পাকিস্তানের মতো এবার বাংলাদেশ থেকেও ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারে মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফট বাংলাদেশের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভিউজ বাংলাদেশকে চাকরিচ্যুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও এখনো প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়নি, তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে সংশয় বাড়ছে।

চাকরিচ্যুতির বিষয়ে জানতে চাইলে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুপ ফারুক বলেন, ‘এগুলো তো গ্লোবাল এমএনসির (মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি) একটি কালচার। এসব একটি প্রতিষ্ঠানের পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া এবং সবসময় চলমান। এমন না যে আমাদের এখানে নতুন হচ্ছে।’

বাংলাদেশ থেকে মাইক্রোসফটের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেক কিছুই শোনা যায়। আমিও ভেতরে ভেতরে অনেক কিছু শুনেছি। তবে কার্যক্রম এখনো চলছে। এখন কতদিন চলবে বা বন্ধ হচ্ছে কিনা, সেটা আমার কাছে পরিস্কার না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ব্যাপার আমরা বিস্তারিত জানি না। তবে এখন যেমন দেখছি, এখানেও অপারেশনাল ও নীতিনির্ধারণী চ্যালেঞ্জ আছে। এসব বড় এমএনসিগুলোর নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ।’

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি মাইক্রোসফট বাংলাদেশ থেকে চলে যায়, তাহলে তা হবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা।

এ প্রসঙ্গে ইউসুপ ফারুক বলেন, ‘অবশ্যই, এতে কোনো সন্দেহ নেই। শুধু মাইক্রোসফট না, আজ যদি কোনো এমএনসি বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে যায়, সেটা আমাদের জন্য খারাপ সংবাদ।’

মাইক্রোসফট ১৯৮৯ সালে একটি স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৪ সালের শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নিজস্ব সাব-সিডিয়ারি অফিস চালু করে।

বর্তমানে মাইক্রোসফট বাংলাদেশে বছরে আনুমানিক ২৫ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে থাকে। তবে গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের কার্যক্রম মূলত পরিচালিত হচ্ছে ভারতের সাব-সিডিয়ারি অফিস থেকে। এর আগে এই দায়িত্বে ছিল সিঙ্গাপুর অফিস।