ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

যাদের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিচ্ছে গুগল

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
ইউটিউব চ্যানেলে ব্যস্ত এক নারী। ছবি- সংগৃহীত

জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতিটাক্ষণ ইউটিউবে কেউ হয়তো ভিডিও দেখছেন, আবার কেউ ভিডিও বানাচ্ছেন। কিন্তু জানেন কি অনেক মানুষের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিচ্ছে গুগল?

ইতিমধ্যে প্রায় ১১ হাজার ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিময় মতো না চললে আরও চ্যানেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেই এতোগুলো চ্যানেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র চীন, রাশিয়ার মতো দেশগুলো নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানোর অভিযোগে।

ভারতের ১১ হাজার ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে ৭ হাজার ৭০০ চীন এবং ২ হাজার ২০০ রাশিয়ার মদতপুষ্ট চ্যানেল।

সিএনবিসির সাম্প্রতিক রিপোর্ট ও গুগলের অফিসিয়াল ব্লগে এমনটাই জানানো হয়েছে।

সব মিলিয়ে এপ্রিল, মে ও জুনের হিসেবে হাজার হাজার চ্যানেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউটিউব। বহু ডোমেনকে গুগল নিউজে যাতে দেখানো না হয় সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রোপাগান্ডা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

সারা বিশ্বের সব ইউটিউব চ্যানেলের উপরই নজরদারি চালায় গুগলের ‘থ্রেট অ্যানালিসিস গ্রুপ’। এর আগে কেবল মে মাসেই গুগল ২০টি ইউটিউব, চারটি বিজ্ঞাপনী অ্যাকাউন্ট ও একটি ব্লগ বন্ধ করে দিয়েছিল।

জানা যায়, চ্যানেলগুলো মূলত চীনা ও ইংরেজি ভাষায় শি জিনপিংয়ের প্রশস্তি এবং মার্কিন বিদেশ নীতির নিন্দা করত। অন্যদিকে রাশিয়ার চ্যানেলগুলোর কাজ ছিল ইউক্রেন, ন্যাটো ও পশ্চিমী দেশগুলোর সমালোচনায় রাশিয়ার হয়ে সাফাই দেওয়া। পাশাপাশি মস্কো প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থাগুলোর হয়েও কথা বলত এই সব চ্যানেল।

বাকি চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে ইরান, আজারবাইজান, তুরস্ক, ইজরায়েল, রোমানিয়া ও ঘানার প্রশাসনের হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং ধর্মীয় ইস্যুতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে ইজরায়েল-গাজা ইস্যু যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে অভ্যন্তরীণ নির্বাচন। চ্যানেলগুলোর কাজ ছিল মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো। যে কারণেই এগুলোকে বন্ধ করেছে গুগল।