ঝিনাইদহের সদর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে আবু সাঈদ, অলিয়ার, শোযেব, অহিদ ও নুরোলকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, কোদালিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সামাজিক বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি বৃষ্টিতে মাসুদ কাজী গ্রুপের শোয়েব নামের এক ব্যক্তির পুকুরের মাছ পাশের ধানের জমিতে ভেসে যায়।
এ সময় সোহেল মুন্সি ও রিয়াজ মুন্সি গ্রুপের লোকজন ভেসে যাওয়া মাছ ধরার জন্য জাল পাতলে মাসুদ কাজী গ্রুপের অলিয়ার রহমান ও তার ভাই শোয়েবকে মাছ ধরতে নিষেধ করে জাল তুলে নিতে বলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আরও জানান, মঙ্গলবার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ওয়াজেদ বিশ্বাসের জানাজা শেষ করে শোয়েব বাড়ি ফিরছিলেন। তখন প্রতিপক্ষ সোহেল মুন্সি ও রিয়াজ মুন্সি গ্রুপের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে পুলিশ এসে গ্রামে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে মাছ ধরতে নিষেধ করে।
এরপর বুধবার সকালেই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী ও পুরুষ মিলিয়ে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত অলিয়ার বলেন, ‘আমার ভাই শোয়েব তার পুকুরে মাছ ছাড়ে। কিন্তু বৃষ্টিতে পুকুর ভেসে পাশের ধানের জমিতে মাছ চলে যায়। তখন আমাদের প্রতিপক্ষ সোহেল মুন্সি ও রিয়াজ মুন্সির লোকজন মাছ ধরতে আসলে তাদের নিষেধ করলে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়।’
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।