ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভোরে মসজিদে যাওয়ার পথে সদর উপজেলায় গাড়ির ধাক্কায় পুকুরের পানিতে পড়ে রশিদুল ইসলাম ওরফে মধু মুন্সী (৬৭) নামে একজন নিহত হন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শৈলকূপা শহরে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আসলাম হোসেন (১৭) নামে অপর এক কিশোর নিহত হন।
-20251121171827.webp)
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোরের দিকে সদর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মধু মুন্সী মসজিদে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একটি অজ্ঞাত পিকআপ ভ্যান তাকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। নিহত মধু মুন্সী ওই গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মুন্সী আজিজুর রহমানের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই, সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সী মাফিজুর রহমান টুকু জানান, সকালে ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের মসজিদে যাচ্ছিলেন রশিদুল ইসলাম ওরফে মধু মুন্সী। তখন অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় তিনি পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যান। কিছুক্ষণ পর সকাল সাতটার দিকে মৃতদেহটি পানিতে ভেসে ওঠে। স্বজনরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে জেলার শৈলকূপা পৌরসভার কবিরপুর এলাকায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আসলাম হোসেন (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে কবিরপুর জামে মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আসলাম হোসেন একই এলাকার রাসেম বিশ্বাসের বড় ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আসলাম হোসেন তার বন্ধুর মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ কবিরপুর জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খাঁন ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
