খুলনার পাইকগাছায় পুলিশেরর কাছ থেকে হাতকড়া অবস্থায় আসামি পালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দু-বছরেও নেয়া হয়নি প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা।
প্রকাশ, ২০২২সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১২ টার দিকে মটবাটী গ্রামের মোজাফফর গাজী (২৮) নামে এক আসামীকে এএসআই শরিফুল ইসলাম গ্রেপ্তার করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন এএসআই গোপাল চন্দ্র সাহা। সে উপজেলার মটবাটী গ্রামের মোশাররফ গাজীর ছেলে। সে কেশবপুর থানার একটি ঘটনায় পাইকগাছা থানার ১০৬/২১ নম্বর জিআর মামলার আসামি। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরিয়ে মটর সাইকেলের বসিয়ে নেয়া হয়। চালক থাকে শরিফুল ন্মায়ঝখানে আসামী ও পিছনে গোপাল সাহ। এ সময় তার সাথে চুক্তি হয় ১০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। সে ৫ হাজার টাকা দিতে রাজী হয়। এক পর্যায়ে সে বলে সামনে তার শ্বশুর বাড়ী সেখান থেকে নিয়ে দিবে। পুলিশ যথারীতি মটর সাইকেল তার শ্বশুর বাড়ীর সামনে এসে মটর সাইকেল থামায়। মোজাফফর গাড়ী থেকে নেমে শ্বশুর জালাল গাজীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আনে। এ সময় সে তাকে টাকার কথা বলে। শ্বশুর জালাল বলে এত টাকা এত রাতে কোথায় পাবো। এরই এক ফাঁকে সে হাতকড়া অবস্থায় পালিয়ে যায়। বাড়ীর লোকেরা এসময় সাংবাদিকদের কাছে ঘটনাটি বর্ণনা দেন।
ঐ সময় এ ব্যাপরে এএস আই শরিফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন,তাদেরকে মারপিট করে বাড়ীর লোকের মোজাফফরকে ছিনিয়ে নিয়েছে।।স্থানীয়রা জানায় হ্যান্ডকাফ লাগানো আসামী মটর সাইকেলে দু দারোগার মাঝখান থেকে পালাতে পারেনা। তবে এ ব্যাপারে তৎকালীন থানা অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমানের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে গভীর সম্পর্ক থাকায় তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজী হননি। বরং তিনি বলছিলেন পুলিশের বিরুদ্ধে কোন কিছু লেখালিখি করার দরকার কি?।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন