বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম

ভালো নেই মাধবপুরের বাঁশ-বেত শিল্পের কারিগররা

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম

প্লাস্টিক, মেলামাইন ও স্টিলের পণ্যের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী।  ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্লাস্টিক, মেলামাইন ও স্টিলের পণ্যের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় প্লাস্টিক, মেলামাইন ও স্টিলের পণ্যের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী। ফলে এ পেশার সাথে জড়িত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা আর্থিক অনটনের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।

এ পেশায় টিকতে না পারে ভিন্ন পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। উপজেলার দুর্গাপুর, ছাতিয়াইন, উজ্জলপুর, শাহপুর, শ্যামপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকায় বংশ পরস্পরায় বাঁশ ও বেত শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। এখন এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যাচ্ছে অনেকেই। 

পুঁজি স্বল্পতা, বাঁশ ও বেতের উৎপাদন হ্রাস, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিতে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প একসময় ব্যাপক প্রচলন ছিল বাশের তৈরি কুলা, ঝুড়ি, চাটাই, হাঁস-মুরগির খাচা, ঘাড়ো, বেতের চেয়ার, ধামা, চালুনি, ঢুলি, কলাই, বুরং, হাতপাখা।

ছাতিয়াইন ইউনিয়নের উজ্জলপুর গ্রামের গোপাল মালাকার ও সুবল মালাকার জানান, একসময় তাদের কাছে ১০/১২জন করে বাঁশ ও বেত শিল্পের কারিগর ছিল। তখনকার দিনে একজন কারিগরের বেতন ছিল প্রতিদিন ২০০/২৫০ টাকা। এখনকার দিনে সে কারিগরদের বেতন দিতে হয় ৫০০/৬০০ টাকা। তাও সিজনের সময় পাওয়া যায় না।

তারা আরও জানান, কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাঁশ ও বেতের তৈরি জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আগে একটি বাঁশের দাম ছিল ৫০/৬০ টাকা, সেখানে এখন প্রতিটি বাঁশ কিনতে ৩১০-৩৬০ টাকায়। আর নির্বিচারে বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ার ফলে বেত গাছ এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। তাই এ শিল্পের সাথে জড়িত পরিবারগুলো আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। উপজেলার
ছাতিয়াইন এলাকায় কার্তিক সরকার কয়েক বছর হলো পৈত্রিক পেশা ছেড়ে দিয়ে এখন দিন মজুরি করছেন।

তিনি বলেন, ‘বেত শিল্পে টাকা বিনিয়োগ করলে খুব একটা লাভ হতো না। এখন কৃষি খেতে কাজ করি—দিন বাদে ৪/৫ শত টাকা রোজগার হয়।’

ক্ষুদ্র শিল্প ও কুঠির শিল্পের সাথে যারা আছেন জড়িত, সহজ শর্তে তাদের জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা হলে এই পেশার কারিগরদেরকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!