রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ব্যাট হাতে দশম উইকেট জুটিতে চমক দেখাল দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজের চিরাচরিত ধারা ভেঙে এবার টস জিতে ব্যাট করে বড় রান তোলার সুযোগ হাতছাড়া হয়নি পাকিস্তানের।
তবে, প্রোটিয়াদের লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচটির নিয়ন্ত্রণ এখন দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে। এদিন শেষ উইকেটে তাদেরন ৯৮ রানের অবিশ্বাস্য জুটিতে ভর করে সফরকারী দল প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭১ রানের লিড নিয়েছে।
দিনের শুরুতে মাত্র ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা বড় রানে পিছিয়ে পড়বে, তখন একাই ব্যাটিং লাইনের পতন ঠেকিয়ে রাখেন মুতুসামি।
এরপর নবম ও দশম উইকেটে আসা দুটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি দলের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কেশব মহারাজের সঙ্গে তার ৭১ রানের জুটি এবং কাগিসো রাবাদার সঙ্গে ৯৮ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপ পাকিস্তানকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।
বিশেষ করে এদিন রাবাদা ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। মাত্র ৩৮ বলে তিনি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন, ইনিংসে ছক্কা-চারের ঝড় তুলে পাকিস্তানি বোলারদের দিশেহারা করে দেন।
অন্যদিকে, মুতুসামি তার দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি তুলে নিয়ে ৮৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ হয় ৪০৪ রানে, যেখানে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের ৩৩৩ রানের জবাবে তারা লিড নেয় ৭১ রানের।
তবে দিনের শুরুটা ছিল পাকিস্তানের স্পিনার আসিফ আফ্রিদির। অভিষেক টেস্টেই তিনি ৫ উইকেট তুলে নেন, এবং ৩৮ বছর ২৯৯ দিন বয়সে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে 'ফাইফার' (এক ইনিংসে ৫ উইকেট) পাওয়া বোলারে পরিণত হন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান ৩৩৩ দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০৪ (মুতুসামি ৮৯*, স্টাবস ৭৬, রাবাদা ৭১, আসিফ ৬-৭৯) দক্ষিণ আফ্রিকা লিড: ৭১ রান।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন