বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম

জলদস্যুদের মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন ৭ জেলে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সুন্দরবনে জলদস্যু ‘ডন বাহিনী’র হাতে অপহৃত সাত জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে তারা জিম্মিদশা থেকে ছাড়া পান। অপহৃত জেলেদের পরিবারকে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ হিসেবে পরিশোধ করতে হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার দুপুর ও বিকেলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দাবি করা মুক্তিপণ পরিশোধের পর জেলেরা মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে লোকালয়ে পৌঁছান।

গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী, চেলাকাটা ও হেতালবুনি খাল এলাকায় কাঁকড়া আহরণে গেলে সাত জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যুরা। 

ফিরে আসা জেলেরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের মুজিবুল হক (৩৫), আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬) ও আনোয়ার হোসেন (৩২)।

জেলেরা জানান, অপহরণের সময় দস্যুরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু ‘ডন বাহিনী’র পরিচয় দেয়। তবে দুই দিন জিম্মি অবস্থায় তাদের কথোপকথন শুনে নিশ্চিত হন, ৯ সদস্যের দলটি আসলে ‘নানু বাহিনী’ নাম ব্যবহার করে সুন্দরবনে তৎপরতা চালাচ্ছে।

জেলেদের দাবি, জলদস্যুদের কাছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে একটি পুলিশ বা র‌্যাবের ব্যবহৃত পিস্তল হতে পারে বলে তারা মনে করেন।

ফিরে আসা দুই জেলে আরও জানান, ‘সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়া এলাকায় বসে একটি প্রভাবশালী চক্র এই দস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করছে। জিম্মিদশায় থাকাকালে তারা একাধিকবার ওই চক্রের সদস্যদের সঙ্গে দস্যুদের কথা বলতে শুনেছেন। এর আগে আত্মসমর্পণ করা কয়েকজন দস্যুকেও তারা শনাক্ত করেছেন।’

সুন্দরবনের বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফজলুল রহমান বলেন, ‘কয়েকজন জেলে বাড়ি ফিরেছেন এ তথ্য তারা লোকমুখে শুনেছেন। তবে তাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি।’

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান বলেন, ‘জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অপরাধীদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।’

Link copied!