জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, ‘সাহস করে সত্য কথা বলার লোক যদি না থাকে তাহলে দেশে কোনো সংস্কার ফলপ্রসূ হবে না। তাই আমরা যেন সাহস হারিয়ে না ফেলি। দলাদলির বাইরে থেকে দায়িত্ব পালনের চর্চা করা উচিত। পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধ্বে উঠতে না পারলে বিতর্কের জন্ম হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংকীর্ণতা জাতিগতভাবে আমাদের পিছিয়ে দিতে পারে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবে। রাষ্ট্রীয় স্বার্থ দেখার লোক না থাকলে সাধারণ মানুষের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে আমাদের বোধোদয় হয়েছে। এখন কার কোথায় সীমাবদ্ধতা তা খুঁজে বের করে অতিক্রম করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। সবাই মিলে নির্বাচনকে যেন গৌরবময় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। আমাদের সফল হওয়ার বিকল্প নেই।’
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনা পর্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, খুলনা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন।