খুলনা সদর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। চলে রাত ১ টা পর্যন্ত। দেড় ঘন্টার অধিক সময় অভিযানে তাকে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
অভিযানের বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা স্বীকার করলেও তারা কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মোল্লা ফরিদ আহমেদের বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
একটি সূত্র জানায়, গেল বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে পড়েন খুলনা সদর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদ । তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। খানজাহান আলী হকার্স মার্কেটের দোকান দখল ও দোকান মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এদিকে বুধবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার থেকে শুরু হয়ে অভিযান চলে ১টা পর্যন্ত। তকে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা। রাতে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুমের কাছে খোঁজ নিতে ফোন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উল্লেখ্য, মোল্লা ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে ১১ এবং ১২ আগস্ট খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এবং সদর থানায় দু’টি সাধারণ ডায়েরী হয়। ওই জিডির বিপরীতে খুলনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকার দাশ স্বাক্ষরিত পত্রে আটকাদেশ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামত চাওয়া হয়। এরপর খুলনা সদর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদের বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু তাকে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন