জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা বুকের রক্ত দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করেছি, আর কোনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেব না। তিনি বলেন, নতুন করে যারা চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে, যদি সেটা নিজের বাবাও হন।
শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরান থানা এলাকার স্বাধীনতা চত্বরে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ শেষে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নিজের বাবাকেও প্রশ্ন করতে হবে- তুমি ৩০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করো অথচ ৪০ হাজার টাকার বাসায় থাকো কীভাবে? যদি তিনি ঠিকাদার হন, তাহলে জানতে হবে তার আয়ের উৎস কী। শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে হবে নিজেদের ঘর থেকেই।
তিনি তরুণ প্রজন্মকে সততার প্রতীক হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা নিজেরাও দুর্নীতি করবেন না, অন্য কেউ করলে সেটিও প্রতিহত করবেন। নিজেদের মধ্যে টেন্ডারবাজিও চলবে না।
তিনি বলেন, এনসিপির কিশোরগঞ্জ জেলার কর্মীদের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মীদের চেয়ে আলাদা হতে হবে- নৈতিকতা ও সংগঠনের দিক থেকে।
পথসভায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে বক্তব্য দিতে গিয়ে হাসনাত বলেন, ঠিক এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনে নিরীহ মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। যাদের হাতে কোনো অস্ত্র নেই, কোনো আগ্রাসন নেই—তাদের নির্বিচারে হত্যা করছে ইসরায়েলি বর্বর শাসকরা। আমাদের বিশ্ব মানবতার পক্ষ থেকে এ বর্বরতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
তিনি উপস্থিত জনতাকে নিয়ে ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’ স্লোগান দেন।
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু আজকে মাইলস্টোনের ঘটনার মাধ্যমে আবারও তারা পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার না হলে গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব নয়। সংস্কারের আশু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা প্রমুখ।