বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

নাটোরের সড়ক দুর্ঘটনায় কুষ্টিয়ার একই পরিবারের সাতজন নিহত, শোকের ছায়া

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

নিহতদের বাড়িতে প্রতিবেশীেরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নিহতদের বাড়িতে প্রতিবেশীেরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কুষ্টিয়ার একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছেন। এতে নিহতদের গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় আরও একজন নিহত হন। এ ছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বড়াইগ্রামের তরমুজ পাম্প এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় তারা সবাই নিহত হন।

নিহত একই পরিবারের সাতজন হলেন, জেলার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), আপন বোন রোউসনারা আক্তার ইতি (৪৮), চাচাতো বোন আনোয়ারা খাতুন (৫৫), চাচাতো ভাবি আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), শাশুড়ি আনজুমান খাতুন (৬৩) এবং শালিকা সীমা খাতুন (৩৫)।

এ ছাড়া নিহত আরেকজন হলেন মাইক্রোবাস চালক শাহাবুদ্দিন (৪২)। তিনি একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

জানা গেছে, সিরাজগঞ্জে অসুস্থ পুত্রবধূকে দেখতে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন মারা যান এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত আরও দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

নিহত জাহিদুল ইসলামের চাচাতো ভাই মানজারুল ইসলাম খোকন জানান, ‘জাহিদুলের দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। সম্প্রতি বড় ছেলের স্ত্রীর অপারেশন হয়েছে। তিনি বর্তমানে সিরাজগঞ্জের কড্ডায় তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাকে দেখতে যাওয়ার জন্য বুধবার সকালে পরিবারের সাতজন সদস্য মাইক্রোবাসে রওনা হন। পথে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তাদের সবাই প্রাণ হারান।’

বুধবার দুপুরে ধর্মদহ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শোকের ছায়ায় স্তব্ধ পুরো গ্রাম। নিহতদের বাড়িতে চলছে আহাজারি ও মাতম। একসঙ্গে পরিবারের সাত সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামবাসীর হৃদয়ে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।

দৌলতপুর থানার ওসি সোলায়মান শেখ জানান, নিহতদের বাড়ি ধর্মদহ গ্রামে—এই খবর পাওয়ার পরপরই স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। আমরা নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।

Shera Lather
Link copied!