ঢাকা রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

একই পরিবারের চারজনের একসঙ্গে জানাজা শেষে পাশাপাশি দাফন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
পাশাপাশি কবর খোঁড়া হয়েছে। ছবি- সংগৃহীত

নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের একই পরিবারের নিহত চারজন সদস্যকে জানাজা শেষে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ধর্মদহ ফরাজীপাড়া গোরস্থানে এ দাফন সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশ নেন হাজারো মানুষ।

নিহতরা হলেন: ধর্মদহ গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), ভাই শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আন্না (৫৫) এবং আরেক ভাই মিজানুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০)।

তারা সিরাজগঞ্জে অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যাওয়ার পথে বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত হন। দুর্ঘটনাস্থল ছিল আইড়মারী এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে।

একই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন জাহিদুলের বোন প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ও মাইক্রোবাসচালক সাহাব হোসেন (৩৫), মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং তার মেয়ে সীমা খাতুন (৩৫)।

বুধবার সন্ধ্যায় জাহিদুল, তার স্ত্রী ও দুই ভাবির মরদেহ দৌলতপুরের ধর্মদহ গ্রামে পৌঁছালে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনেরা। নিহতদের একনজর দেখতে ভিড় করেন আশপাশের গ্রামের হাজারো মানুষ।

জাহিদুলের চাচাতো ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য জানারুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে তারা জাহিদুলের ছেলে সোহানের অসুস্থ স্ত্রীর খোঁজ-খবর নিতে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পথে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইতি খাতুন, আঞ্জুমানারা ও সীমা খাতুনের মরদেহ তাদের নিজ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। গাড়িচালক সাহাব হোসেনকেও ধর্মদহ গ্রামে রাতেই দাফন করা হয়েছে।

একটি দুর্ঘটনায় একই পরিবারের একাধিক সদস্যসহ মোট আটজনের প্রাণহানিতে এলাকাজুড়ে চলছে শোক আর মাতম।