কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং করা ইজারাকৃত প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার বালু লুটের অভিযোগ উঠেছে।
কুমারখালীর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা মৌজায় বালু লুটের এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৩ জুন গড়াই নদী ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গড়াই নদীর ড্রেজিংকৃত বালু বিক্রয়ের জন্য কারিগরি উপকমিটির প্রতিবেদনের আলোকে গড়াই নদীর কয়া ও রায়ডাঙ্গা মৌজায় ৬ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার বালু বিক্রয় করে অপসারণের দরপত্র আহ্বান করে পাউবো। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকায় ইজারা পায় মেসার্স প্রিয়াংকা ব্রিকস। প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা জমা প্রদান শর্তে ইজারাদার বালু বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হলে ১২ সেপ্টেম্বর বালু বিক্রি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে এবং বালু অপসারণ কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর স্থানীয় প্রভাবশালীদের হুমকি ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঠিকাদার এক্সকাভেটর, পেলোডার, ডাম্প ট্রাক নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। আর ঠিকাদারের অনুপস্থিতিতে রায়ডাঙ্গা মৌজায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা ড্রেজার বসিয়ে বালু লুট শুরু করে।
আরও জানা গেছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার বালু লুট করে কয়া ইউনিয়নের রায়াডাঙ্গা ঈদগাহ, রায়ভাগা গোরস্তানে এবং বাণিজ্যিকভাবে অন্যত্র বিক্রি করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা, যার বাজারমূল্য ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা।
প্রিয়াংকা ব্রিকসের ব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্যক্তিগত সুবিধা না পেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করে বালু বিক্রি বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু তারাই এখন ইজারাকৃত বালু লুট করে বিক্রি করছে। এতদিনে প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার বালু লুট করেছে প্রভাবশালীরা, যার বাজারমূল্য ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা।
বালুর ঘটনায় লিখিত জিডির কথা স্বীকার করেছেন কুমারখালী থানার ওসি খন্দকর জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, বালু ইজারা দিয়েছে পাউবো। বালু লুটের ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।