ঢাকা বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

কামড়ের পর জ্যান্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
সাপে কামড় দেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কৃষক কুদ্দুস আলী শেখ। ছবি- সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারীতে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৬৫ বছর বয়সি কৃষক কুদ্দুস আলী শেখের পায়ে রাসেলস ভাইপার সাপ কামড় দেয়। এরপর লাঠি দিয়ে সাপটিকে থামান তিনি। পরে নিজের পা বাঁধেন এবং পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। এরপর জ্যান্ত সাপটি তিনি প্লাস্টিকের বোতলে ভরে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে। কুদ্দুস আলী চিলমারী চরের কলাইখেতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

কৃষক কুদ্দুস আলী শেখ জানান, মাঠের ভেতরে কাঁচা পথ দিয়ে আসার সময় একপাশে জঙ্গল আর অন্যপাশে কলার বাগানের মধ্যে সাপটি কামড় দেয়।

তিনি আরও জানান, সাপ তার পায়ের সামনে ছিল, কামড় দেওয়ার পর সাপটিকে লাঠি দিয়ে থামান তিনি। তারপর নিজের পা বাঁধেন এবং পরিবারকে ফোন দেন।

পরিবারের সদস্যরা দ্রুত প্লাস্টিকের বোতলে সাপটি ভরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছে দেন। হাসপাতালে চিকিৎসকরা কুদ্দুস আলীকে অ্যান্টিভেনম দিয়ে চিকিৎসা করেছেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন, যদিও কামড়ের স্থান ফোলা রয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সাপটি হাসপাতালে কুদ্দুস আলীর কাছে প্লাস্টিকের বোতলে ছিল। তবে একপর্যায়ে সাপটি মারা যায়। স্থানীয় কয়েকজন তরুণ সাপটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চত্বরে পুঁতে রাখেন।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান জানান, সাপটি প্রায় তিন ফুট লম্বা পূর্ণবয়স্ক রাসেলস ভাইপার। সাপের ছোবলে রক্ত বের হয়েছে, তবে সম্ভবত বিষ পুরোপুরি প্রবেশ করতে পারেনি। তাই রোগী আপাতত সুস্থ আছেন। সাপটি সঙ্গে আনায় দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা সম্ভব হয়েছে।