সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম

অসহায় বিশ্বজিতকে চিকিৎসা সহায়তা দিলেন পৌর প্রশাসক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম

বিশ্বজিতের হাতে ১ লাখ টাকা তুলে দেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিশ্বজিতের হাতে ১ লাখ টাকা তুলে দেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অসহায় বিশ্বজিত চন্দ্র দাসের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) পৌরসভার নিজ কার্যালয়ে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে বিশ্বজিতের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন পৌর প্রশাসক। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবী ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত।

বিশ্বজিত চন্দ্র দাস সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে বসবাস করছেন। জানা যায়, তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।

এতে তার কোমরের দুটি বাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক বাটি অপারেশনের জন্য পাঁচ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছিল, যা তিনি ঋণ করে বহন করেছিলেন। পরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে দ্বিতীয় বাটির চিকিৎসা করাতে পারেননি।

ঋণের বোঝা ও দৈনন্দিন জীবনের ত্রুটিপূর্ণ আয় মেটাতে হকারি করে দিন চালানো তার বাস্তবতা। একপর্যায়ে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তিনি জীবন চালাচ্ছেন। ছেলে বর্তমানে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

নিজের চিকিৎসার জন্য পৌর প্রশাসকের কাছে আবেদন করলে তাৎক্ষণিক সাড়া দেন মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বিশ্বজিতকে কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা তুলে দেন।

বিশ্বজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় কোমরের দুটি বাটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথম বাটি অপারেশন করানোর জন্য ঋণ করতে হয়েছিল। বর্তমানে দ্বিতীয় বাটির অপারেশন জরুরি। পৌর প্রশাসক মহোদয় আমার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, এজন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ।’

পৌর প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘অর্থাভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ব্যক্তির পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। আমি আনন্দিত যে, আমাদের সহায়তায় তার কিছুটা হলেও সমস্যা লাঘব হবে।’

Link copied!