মনসুন রেভ্যুলেশনকে উপজীব্য করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পকলার দুই মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হলো দুটি মঞ্চনাটক।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়ন হয় নাটকগুলো। এর মধ্যে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় ‘আর কত দিন’ এবং একই সময়ে পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় ‘অগ্নিশ্রাবণ’।
কথাসাহিত্যিক জহির রায়হানের বিখ্যাত উপন্যাস ‘আর কত দিন’ অবলম্বনে "আর কত দিন" নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন খন্দকার রাকিবুল হক। প্রযোজনায় ছিলো অন্তর্যাত্রা।

বাঙালি কালে কালে অত্যাচারি শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু ইতিহাস বলে সে লড়াই কখনও শেষ হয়নি। তাই বারবার মনে প্রশ্ন জাগে- আর কত দিন? প্রযোজনা সম্পর্কে নির্দেশক খন্দকার রাকিবুল হক বলেন, জহির রায়হান রচিত ‘আর কত দিন’ অভিব্যক্তিবাদী রচনা। মঞ্চ প্রয়োগ ভাবনা দুরূহ এবং সময় সাপেক্ষ। কিন্তু বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিপ্লব ও বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের চিত্র, প্রশ্ন এবং সংকট উত্তরণের ধারণা উপন্যাসের মননে রয়েছে।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, সৌমিক বাগচী, সাজ্জাদুল ইসলাম শুভ, উম্মিতা চৌধুরী, ইশতিয়াক আহমেদ, ঐন্দ্রিলা মজুমদার অর্ণা, সপ্তর্ষী বিশ্বাস, প্রজ্ঞা প্রতীতি, মুনতাহানা ফিজা, মুস্তাফিজ তোফা, মুক্তাদিরুল ইসলাম সিফাত, শাফায়েত জামিল লিজান, দেবাদ্রিতা সরকার অহনা, মিথিলা তাসফিয়া, স্নেহা বান্টা, আতিকুজ্জামান শিবলু, অথৈ সরকার আঁচল প্রমুখ।

একই সময়ে পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ ‘অগ্নিশ্রাবণ’-এর প্রযোজনায় ছিলো ভৈরবী গীতরঙ্গ দল। রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন ইলিয়াস নবী ফয়সাল।
এটি সময় ও সংগ্রামের মঞ্চ নাটক। সময়ের গতিপথ থেমে থাকে না সে এগিয়ে চলে নিজের ছন্দে, রচনা করে ইতিহাসের একের পর এক নতুন অধ্যায়। সেই পরিবর্তনের ধারায় নির্মিত হয়েছে এই নাটকটি। প্রতীকী ভাষা, কাব্যনির্ভর সংলাপ ও চিত্রকল্পের মিশেলে এই নাটকটি তুলে ধরেছে সময়ের সাথে মানুষের অস্তিত্ব সংকট ও আত্মজাগরণের এক অন্তর্গত যাত্রা।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্পিতা, অপরাজিতা, অতনু, আয়রা, বিপ্লব, ধ্রুব, দীপ্ত, ফাহমিদা, ইকরা, রাজিব, লাবন্য, নন্দিতা, পারমিতা, প্রীতম, নদী, লামিয়া, সিফাত, সোহা, অংকন, স্বপ্নীল, তোমো, প্রত্যাশারম্য, অর্থী, নোবেল, রিয়া, পার্থ প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :